Saturday, June 25, 2016

ছাত্র কখন মেধাবী হয়?

সব মেধাবীরাই ছাত্র হয়, কিন্তু সব ছাত্রই মেধাবী হয় না। এমন কিছু সময় আসে যখন সব ছাত্ররই পরিচিতি ছড়ায় মেধাবী হিসেবে। ভাবছেন সেটা আবার কখন? তো চলুন দেখে আসি।
  • দুর্ঘটনায় আহত হলে আপনি যতই খারাপ ছাত্র হন না কেন সবাই আপনাকে মেধাবী ছাত্র হিসেবেই আখ্যায়িত করবে।
  • আপনি পড়ালেখা করেন আর নাই করেন, যখন আপনার বিয়ের সম্বন্ধ আসবে তখন অপর পক্ষের কাছে আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে মেধাবী ছাত্র হিসেবে।
  • হঠাৎ নিঁখোজ হয়ে গেলে শুনবেন আপনার চেয়ে মেধাবী ছাত্র পুরো তল্লাটে আর দ্বিতীয় কেউ ছিল না।
  • পরীক্ষার রেজাল্টের পর আপনি যত বিষয়েই ফেল করুন না কেন, রেজাল্ট পাবলিশের আগে আপনি নিজেকে মেধাবী ছাত্র হিসেবে দাবি করতেই পারেন।
  • সিনেমায় নায়ক-নায়িকারা জীবনে কোনোদিন বই-খাতা ধরুক আর নাই ধরুক পড়ালেখার ক্ষেত্রে দেখবেন অত্যন্ত মেধাবী হিসেবে দেশ-বিদেশের বড় বড় ডিগ্রি অর্জন করে ফেলছে।
  • বন্ধুদের আড্ডায় আপনি নিজেকে মেধাবী ছাড়া অন্যকিছু ভাবতেই পারবেন না।
  • অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হয়ে আপনার অবস্থা যখন প্রায় যায় যায় হবে তখন দেখবেন আপনার গার্ডিয়ান থেকে শুরু করে পাড়া-প্রতিবেশী সবাই আপনাকে ছাত্র হিসেবে মেধাবীই মনে করছে।
  • প্রেমে ব্যর্থ হয়ে নেশাগ্রস্ত বা অন্য কোনো বিপথে চলে গেলে দেখবেন লোকজন বলাবলি করছে ছেলেটা তো আগে অনেক মেধাবীই ছিল।
  • বিশ্বাস করেন আর না-ই করেন, যারা চশমা ব্যবহার করে তাদের বেশির ভাগ মানুষই মনে করে অনেক মেধাবী।
  • অর্থ সংকটের কারণে আপনার পড়ালেখা স্থগিত হয়ে গেলে শুনবেন দেশ থেকে একটা মেধাবী ছাত্র হারিয়ে গেল।
  • ফেসবুকের অ্যাবাউট চেক করলে দেখা যাবে দেশের প্রায় ৯৯.৯৯ পার্সেন্ট ইউজারই ছাত্র হিসেবে নিজেদের অত্যন্ত মেধাবী লিখে রেখেছে।

লেখা ও আঁকা: রবিউল ইসলাম সুমন
প্রথম প্রকাশ: এনটিভি (অনলাইন)
(২৫ জুন ২০১৬)

Thursday, June 23, 2016

টিকেট পাওয়ার পরে আরো যা কিছু করা যেত...



খবরে প্রকাশ, টিকেট পেয়ে খুশিতে অনেকেই টিকেটের সাথে সেলফি তুলে আনন্দ উদযাপন করছেন। তো আর কী উপায়ে টিকেট পেয়ে আনন্দ উদযাপন করা যেত চলুন দেখে নিই।

  • টিকেট পাওয়ার পর একটা মাইক ভাড়া করে সবাইকে সেটা জানাতে পারেন। শব্দদূষণ যাতে কম হয় এজন্য হ্যান্ড মাইক ব্যবহার করলে মন্দ হয় না।
  • আগের দিনের রাজা-বাদশাদের মতো শাহী এলানের মাধ্যমে আপনি টিকেট পেয়েছেন- এটা সবাইকে জানাতে পারেন।
  • ব্যান্ড পার্টির আয়োজন করেও টিকেট প্রাপ্তির আনন্দ আরো বাড়িয়ে নিতে পারেন।
  • সবাইকে মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা প্রেরণের মাধ্যমে আপনি যে টিকেট পেয়েছেন সেটা জানিয়ে আনন্দ ভাগ করে নিতে পারেন।
  • খালি দেয়াল আর বাসে পোস্টারিং করে নিজের টিকেট প্রাপ্তির কথাটা সবাইকে জানাতে পারেন।
  • পোস্টারিংয়ের আইডিয়া পছন্দ না হলে হেলিকপ্টার ভাড়া করে তার ওপর থেকে লিফলেট ছড়িয়ে আপনার টিকেট প্রাপ্তির বিষয় সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করতে পারেন।
  • চাইলে পেপারে নিজের ছবিসহ বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে আনন্দ উৎযাপন করতে পারেন।
  • জন্মদিনের মতো কেক কেটেও কিন্তু চাইলে টিকেট পাওয়ার আনন্দ উৎযাপন করা যায়।
  • প্রয়োজনে সাংবাদিক ডেকে আপনার টিকেট প্রাপ্তির খবর দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দিতে পারেন।
  • এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। শুধু ফেসবুক কেন? আরো যত মাধ্যম আছে, যেমন ইউটিউব, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম- এসবেও টিকেটের সাথে ছবি দিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারেন।

লেখা ও আঁকা: রবিউল ইসলাম সুমন
প্রথম প্রকাশ: এনটিভি (অনলাইন)
(১৮ জুন ২০১৬)

Monday, June 20, 2016

খাবারের যত ভুল নাম...


— চার ভাগের সাড়ে তিন ভাগই আলু এমন খাবারের নাম রাখা হয় ডিমের চপ!
— ছিলে খাওয়ার প্রয়োজন নেই তবু সেই খাবারের নাম হচ্ছে ছোলা
— পেঁয়াজের অস্তিত্ব অণুবীক্ষণ দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায় না তার নাম পেঁয়াজু
— পেঁপে, শিম, ধুন্দল যা দিয়েই বানানো হোক, নাম তার হয়ে যায় বেগুনি
— সুতার অস্তিত্ব নেই তারপরও নাম সুতী কাবাব
— একই ভাবে জাল ছাড়াই তৈরি হচ্ছে জালি কাবাব
লেখা ও আঁকা: রবিউল ইসলাম সুমন
প্রথম প্রকাশ: এনটিভি (অনলাইন)
(১৮ জুন ২০১৬)

Thursday, June 16, 2016

অজ্ঞান পার্টি!


প্রথম প্রকাশ: ঘোড়ারডিম, দৈনিক কালেরকণ্ঠ
(১৪ জুন ২০১৬)

Wednesday, June 15, 2016

অটোরিকশা মিটারে না গেলে আপনি যা করতে পারেন...

বারে বারে আইন করে সিএনজি অটোরিকশা মিটারে চলার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা একেবারেই মেনে চলছেন না দেশের সিংহভাগ অটোরিকশাচালক। তো, এমতাবস্থায় আপনি কী করতে পারেন, তা-ই এখন জানাচ্ছেন— রবিউল ইসলাম সুমন


— গুজব ছড়িয়ে দিন, সামনেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম টহল দেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। এতে শাস্তি আর জরিমানার ভয়ে সে মিটারে যেতে রাজি হয়ে যাবে।
— গুজবে কাজ না হলে নিজেই বনে যান মোবাইল কোর্টের সদস্য। এর পর আর আপনাকে মিটারে না নিয়ে যেতে চাইবে এমন সাহস আছে কার!
— নিজেকে একজন সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলুন, সিএনজি মিটারে যাচ্ছে না, এটা নিয়ে প্রতিবেদন লিখতে এসেছেন। দেখবেন, তখন ভয় পেয়ে সবাই আপনাকে মিটারে নিয়ে যেতে চাইবে।
— মিটারে যেতে না চাইলে হুট করে পকেটের মোবাইলটি বের করে সিএনজিওয়ালার ছবি বা ভিডিও তোলা শুরু করুন। সে মিটারে যাচ্ছে না, এটা আপনি অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগ সাইটে ছড়িয়ে দেবেন ভেবে সহজেই মিটারে চলতে রাজি হয়ে যাবে।
— হাতে একটা কলম আর নোটপ্যাড নিয়ে সিএনজির নম্বরটি টুকে রাখার অভিনয় করুন। বেচারা আপনাকে গোয়েন্দা সংস্থার লোক ভেবে ভয়ে মিটারে নিয়ে যেতে রাজি হবে।
— ‘এই সিএনজি মিটারে যেতে চায় না’ এমন স্টিকার বা পোস্টার সঙ্গে নিয়ে ঘুরুন। এবার কেউ মিটারে না গেলে সেটা তার সিএনজিতে এঁটে দেবেন—এমন কথা বললেই দেখবেন সে যেতে রাজি হয়ে গেছে!
— স্বপ্নে দেখেছেন, মিটারে না গেলে অটোরিকশা অ্যাক্সিডেন্ট করবে—এমন কথা ‘সিএনজি’ওয়ালার সামনে বলুন। নিজের প্রাণের মায়ায় হলেও সে আপনাকে মিটারে নিয়ে যেতে রাজি হবে।
— নিজেকে যোগাযোগমন্ত্রীর আত্মীয় দাবি করে সিএনজিতে উঠুন। দেখবেন সিএনজিওয়ালা এমনিতেই মিটারে চলতেছে!
— টিভিতে দেখেছেন সিএনজি মিটারে গেলে সরকার র‌্যাফেল ড্রর মাধ্যমে সিএনজিওয়ালাদের বাড়ি, গাড়ি, স্বর্ণালংকার গিফট করবে, এমন কথা বলে দেখুন। আশা করা যায়, সিএনজিওয়ালা আপনাকে জোর করে হলেও মিটারে নিয়ে যাবে!

লেখা ও আঁকা: রবিউল ইসলাম সুমন
প্রথম প্রকাশ: এনটিভি (অনলাইন)
(১৫ জুন ২০১৬)

Tuesday, June 14, 2016

মানবজীবনে দৌড় চক্র

মানবজীবন হচ্ছে একটা দৌড় চক্র, যেখানে সারাটা জীবন শুধু দৌড়াতেই হয়। কী, বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে চলুন দেখে আসা যাক। আইডিয়া- রবিউল ইসলাম সুমন


প্রথম প্রকাশ: ঘোড়ারডিম, দৈনিক কালেরকণ্ঠ
(৩১ মে ২০১৬)

বাজেট রঙ্গ‍!

কার্টুন-১:
ফকির: খালাম্মা, আগে না প্রত্যেকদিন সকালে আমারে বাসি র“টি আর পাউর“টি খাইতে দিতেন? এখন কয়দিন ধরে সেটা একেবারেই দিতেছেন না ঘটনা কি?
মহিলা: বাজেটে পাউর“টির দাম বাড়ার পর থেকে এখন কষ্ট করে নিজেরাই বাসি র“টি খাওয়া শিখে গেছি তাই...

কার্টুন-২:
১ম জন: এবারের বাজেটেও মোবাইলের খরচ বাড়ানো হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে ক্যামনে কি?
২য় জন: ক্যামনে আবার কি? মোবাইল চালান বাদ দিয়া আগের দিনের মতো চিঠি চালাচালি কিংবা কবুতরের মাধ্যমে সংবাদ আদান-প্রদান করবি!


লেখা ও আঁকা: রবিউল ইসলাম সুমন
প্রথম প্রকাশ: যুগান্তর রঙ্গ, দৈনিক যুগান্তর
(১১ জুন ২০১৬)

কার্টুনিষ্টের বাজেট!

লেখা ও আঁকা: রবিউল ইসলাম সুমন
প্রথম প্রকাশ: প্যাঁচআল, দৈনিক সমকাল
(১৩ জুন ২০১৬)

কোনটা বেশি ভারী?

কার্টুন-১:
১ম বন্ধু: এক কেজি তুলা আর এক কেজি লোহার মধ্যে কোনটা বেশি ভারী বলত?
২য় বন্ধু: অবশ্যই লোহা...

কার্টুন-২:
১ম জন: ক্যামনে বুঝায় বল?
২য় জন: ক্যামনে আবার! দুইটা দিয়া তোরে বারি দিলেই বুঝতে পারবি কোনটা বেশি ভারী!!


লেখা ও আঁকা: রবিউল ইসলাম সুমন
প্রথম প্রকাশ: যুগান্তর রঙ্গ, দৈনিক যুগান্তর
(৪ জুন ২০১৬)

প্যারোডি: ছোটবেলার ছড়া নতুন করে পড়া!

১.
আতা গাছে তোতা পাখি
মৌ ছুঁয়েছে ডালিম
বায়োমেট্রিক করতেই হবে
বলছে তারানা হালিম!

২.
মেঘের কোলে রোদ হেসেছে
বাদল গেছে টুটি
বউ বলেছে গোশত রাঁধবে
সাথে চালের রুটি!

৩.
সকালে উঠিয়া আমি
মনে মনে কই
কি-ই বা এতো সকাল হইছে
আরেকটু ঘুমায় লই।

৪.
কে মেরেছে কে ধরেছে
কে দিয়েছে গাল?
বউ মেরেছে বউ ধরেছে
বলছিলাম তার তরকারিতে
একটু বেশিই হইছে ঝাল!

৫.
বাঁশ বাগানের মাথার উপর
চাঁদ উঠেছে ওই
বাঁশের আগায় উঠিয়ে আমায়
কেঁড়ে নিলা মই?

৬.
নোটন নোটন পায়রাগুলি
ঝোটন বেঁধেছে
এই দেখিয়া পোলাপান
সেলফি তুলেছে!

 
প্রথম প্রকাশ: প্যাঁচআল, দৈনিক সমকাল
(১৩ জুন ২০১৬)

যানজট আছে বলেই...

►    সারা দিন দৌড়ের ওপর থাকা যানবাহনগুলো একটু বিশ্রাম নিতে পারে।
►   ৯টার অফিস ১২টায় পৌঁছালেও বস কিছুই মনে করে না। রাতে লেট করে বাড়ি ফিরলেও বউয়ের কাছে কৈফিয়ত দিতে হয় না।
►    সৃজনশীল ব্যক্তিরা গাড়িতে বসেই নিজের সৃজনশীল চিন্তাগুলোর প্রতিফলন ঘটাতে পারেন। গাড়িতে বসেই কাব্যচর্চা, গল্প লেখা বা পত্রিকার জন্য ফিচার লেখার আইডিয়া খুঁজে পাওয়া যায়।

►   দুই পা দিয়ে গাড়িতে চড়া বাদেও যে টুকটাক হাঁটাহাঁটি করা যায়এটা মানুষজন অনুধাবন করতে পারে।
►    রাতের অনিদ্রাগুলো পুষিয়ে নিতে মানুষজন যানবাহনেই একটু ঘুমিয়ে নিতে পারে।
►   সময়েরও যে মূল্য আছে, এটা সবাইকে মনে করিয়ে দেয়।
►   দূরে কোথাও ডেটিং থাকলে যানজটের অজুহাতে সেটা ক্যানসেল করে বাড়িতে বসেই অনায়াসে আরাম করা যায়।
►   যারা ব্যস্ততার কারণে আত্মীয়স্বজনের খোঁজ নেওয়ার টাইম পান না, তাঁরা অলস বসে না থেকে ফোন করে সবার খবরাখবর নিতে পারেন।
►  এক বসায়ই পুরো পত্রিকা পড়ে দেশের সব খবর জানার পাশাপাশি নিজের জ্ঞানও বৃদ্ধি করা যায়।
►   মুভি, নাটক কিংবা বিভিন্ন ডকুমেন্টারি ফিল্ম দেখার জন্য যাঁরা টাইম পান না, তাঁরা গাড়িতে বসে এসব দেখে বিরক্তিকর মুহূর্তটা সহজেই     কাটিয়ে দিতে পারেন।
►  ধৈর্য মানুষের একটা বড় গুণ, সেটা প্র্যাকটিক্যালি অনুভব করা যায়।
প্রথম প্রকাশ: ঘোড়ারডিম, দৈনিক কালেরকণ্ঠ
(১৪ জুন ২০১৬)

Friday, June 10, 2016

সিম বন্ধ হওয়ায় যেসব সুবিধা পাবেন

১ জুন থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দেশের অনিবন্ধিত সব সিমতো আপনার সিমটিও যদি বন্ধ হয়ে যায় তবে এটা অবশ্যই আপনার জন্য মন খারাপের বিষয়কিন্তু আপনি জানেন কি সিম বন্ধ হয়ে গেলেও আপনি পেয়েছেন বিশেষ কিছু সুবিধা? ভাবছেন কী সেগুলো? চলুন দেখে আসি

অপারেটর থেকে কথা বলার জন্য যে লোন বা এডভান্স টাকাগুলো আপনি নিয়েছিলেন সেগুলো আর আপনাকে শোধ দিতে হবে না
সিম বন্ধ থাকায় রাত-বিরাতে কিংবা সময়-অসময়ে আপনাকে লোডের দোকানে দৌড়াতে হবে না ফোনে টাকা ভরার জন্য
পাওনাদারেরা এখন শত চেষ্টাতেও আপনাকে ফোন করে ডিস্টার্ব করতে পারবে না
সিম বন্ধ থাকায় আপনাকে আর ফোনে কথা বলতে হবে নাফলে আপনি থাকবেন মোবাইল ফোনের ক্ষতিকারক রেডিয়েশন মুক্ত!
সিম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আপনাকে আর কষ্ট করে সেই সিমের নাম্বারগুলা স্মরণে রাখার দরকার নেইফলে আপনার ব্রেইনের ওপর থেকে কিছু প্রেসার কমে যাবে এবং আপনি হয়ে উঠবেন আরো বেশি মেধাবী!
দিনে সতেরো বার করে অপারেটররা আপনাকে এই অফার, সেই অফার টাইপ ফালতু ম্যাসেজ দিয়ে ডিস্টার্ব করতে পারবে না
সকালে এই সিম, বিকালে ওই সিম, রাতে আবার অন্য সিম এভাবে বারবার আপনাকে আর সিম চেঞ্জ করে মোবাইলে লাগাতে হবে নাআর তাই আপনার ফোনের ব্যাটারি দীর্ঘদিন লাস্টিং করবে
কোন সিমে কী অফার, কত টাকা রিচার্জ করলে বিশেষ ইন্টারনেট সেবা পাবেন এই টাইপের অফারগুলাও আপনার মনে রাখার প্রয়োজন পড়বে নাএতে আপনি অন্য যেকোনো সময় থেকে কিছুটা হলেও চাপমুক্ত থাকতে পারবেন

লেখা ও আঁকা: রবিউল ইসলাম সুমন
প্রথম প্রকাশ: এনটিভি (অনলাইন)
(৭ জুন ২০১৬)

Monday, June 6, 2016

বাজে৳ টক!

লেখা ও আঁকা: রবিউল ইসলাম সুমন
প্রথম প্রকাশ: এনটিভি (অনলাইন)
(৬ জুন ২০১৬)

বাজেটে যেসবের দাম বাড়ানো ও কমানো উচিত!

ঘোষণা করা হয়েছে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে। প্রতিবারের মতো এই বাজেটেও বেড়েছে বেশ কিছু জিনিসের দাম এবং কমেছেও কিছু সংখ্যক জিনিসের দাম। তো, বাজেটে যেসব জিনিসের দাম বাড়ালে ও কমালে ভালো হতো, চলুন দেখে আসি-


  যেসব জিনিসের দাম বাড়ানো উচিত
মোবাইলের ক্যান্ডি ক্র্যাশ, ক্ল্যাশ অব ক্ল্যানস টাইপ গেমগুলোর দাম বাড়ানো উচিত, যাতে করে পোলাপান এগুলা খেলেই সারাটা দিন পার করে দিতে না পারে।
সেসব শাকসবজি দিয়ে মেয়েরা রূপচর্চা করে, সেসব শাকসবজির দাম বাড়ানো উচিত, যাতে করে খাবারের জিনিস মুখে নয়, মানুষ খাওয়ার জন্যই ব্যবহার করতে পারে!
জিপিএ ৫-এর দাম বাড়ানো উচিত, যাতে করে গণহারে কেউ এটাকে অর্জন করতে না পারে।
হিন্দি সিরিয়ালের দাম বাড়ানো উচিত। তাহলে আর ঘরে ঘরে হিন্দি সিরিয়াল দেখার সুযোগ পাবে না অনেকেই। ফলে দেশের ঝগড়াঝাঁটি কমে যাবে অনেকটাই।
পার্কের ডেটিংয়ের জন্য ফি বাড়ানো উচিত। এতে করে স্কুল ফাঁকি দিয়ে পোলাপান পার্কে বসে ডেটিং মারার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। ফলে তারা লেখাপড়ার দিকেই মনোযোগী বেশি হবে।
অনলাইন নিউজপোর্টালগুলোর নিবন্ধনে ফি আরো অধিক থেকে অধিকতর করা উচিত। এতে করে দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো নিউজপোর্টাল গড়ে উঠবে না এবং আজেবাজে নিউজও খুব একটা বেশি ছড়াবে না।
বাঁশের দাম বাড়ানো উচিত, যাতে করে একজন আরেকজনকে সহজে বাঁশ দিতে না পারে!
মোবাইল ও ক্যামেরাজাতীয় যন্ত্রাংশের দাম বাড়ানো উচিত। এতে করে যা তুলি, তা-ই ফেসবুকে আপলোড করার প্রচলনটা কমে যাবে।
গাড়ি-ঘোড়া কেনার ওপর ট্যাক্স বাড়ানো উচিত, যাতে করে বড়লোকেরা তাদের পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের জন্য আলাদা আলাদা গাড়ি কিনতে পারবে না। ফলে রাস্তার যানজট অনেকটাই কমে যাবে।
মুখের তেলের ওপরও বাড়তি ফি ধরা যায়। এতে আর কেউ অফিসের বসকে তৈল মর্দন করার সুযোগ পাবে না। ফরমালিনের দাম বাড়ানো যায়। এতে করে ব্যবসায়ীরা পাইকারি হারে সবকিছুর সঙ্গে ফরমালিন ব্যবহার করতে পারবে না।
মিছিল-মিটিং-সমাবেশের ওপর বাড়তি ট্যাক্স ধরা যায়। ফলে যত্রতত্র রাস্তা দখল করে সমাবেশ কিংবা মাইক ব্যবহার করে কেউ মানুষের কানের বারোটা বাজাতে পারবে না।

যেসব জিনিসের দাম কমানো উচিত
পরীক্ষার পাস মার্ক কমানো উচিত, যাতে করে আর একজন ছাত্রও ফেল করতে না পারে।
লাইকের দাম কমানো উচিত, যেন ফেসবুকে সেলিব্রেটি আর নন-সেলিব্রেটি সব এককাতারে থাকতে পারে।
পোশাকশিল্পের দাম কমানো উচিত, যাতে করে বাস্তবে তো বটেই, সিনেমায়ও নায়িকারা বস্ত্র সংকটে না ভুগতে পারে।
রিকশা ভাড়া কমানো উচিত। কেননা, এটা কমালে বড়লোকদের পাশাপাশি মাঝেমধ্যে মধ্যবিত্তরাও রিকশায় চড়ার সুযোগ পাবে।
রিচ ফুডের দাম কমানো উচিত, যাতে করে এগুলা খেয়ে গরিব মানুষ তাদের দেহের ওজন কিছুটা হলেও বাড়াতে পারে।
বাচ্চাদের খেলাধুলার পণ্যের দাম কমানো উচিত, যাতে করে দেশে হাজারো নতুন মুস্তাফিজ, মাশরাফি কিংবা সাকিবের মতো প্লেয়ার তৈরি হতে পারে।
হারিকেনের দাম কিছুটা হলেও কমানো উচিত, যাতে মানুষ ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কবলে পড়লেও সহজেই আদিম যুগে ফিরে যেতে পারে।
ডিম আর আলুর দাম কমানো উচিত, যাতে করে দেশে লাখ লাখ ব্যাচেলর ভাই দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে এবং তারা কখনো বুয়ার অভাব না বুঝতে পারে।

লেখা ও আঁকা: রবিউল ইসলাম সুমন
প্রথম প্রকাশ: এনটিভি (অনলাইন)
(৬ জুন ২০১৬)

আমরাই দৌড়ে সেরা, কারণ...

লেখা ও আঁকা: রবিউল ইসলাম সুমন
প্রথম প্রকাশ: এনটিভি (অনলাইন)
(৫ জুন ২০১৬)

যেসব স্ট্যাটাস আপনি ফেসবুকে দিতে পারবেন না!

জকাল পান থেকে চুন খসলেও মানুষ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়কিন্তু বিশ্বাস করেন আর নাই করেন, এমন কিছু কথা আছে যেগুলো আপনি চাইলেও শেয়ার দিতে পারবেন নাভাবছেন, কী সেগুলো? চলুন দেখে আসি-


— অফিসে ঘুষ খাবেনএমন স্ট্যাটাস আপনি কখনোই দিতে পারবেন নাদিলে খবর আছে
— পরীক্ষায় ফেল করবেনএটা আপনি লিখতেই পারবেন নালিখলে আপনার গার্ডিয়ান কর্তৃক উত্তম-মধ্যম খাওয়ার আশঙ্কা ১০০ পার্সেন্ট
— একাধিক প্রেম করছেনআপনি কখনোই এটা বলতে পারবেন নাযদি বলেন, তবে সবকয়টা প্রেমিক/প্রেমিকা এসে আপনার সঙ্গে রিলেশন ব্রেকআপ তো করবেই, পাশাপাশি আপনাকে ম্যারাথন দৌড়ও করিয়ে ছাড়বে
— চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই করতে যাচ্ছেনএসবের একটাও আপনি ফেসবুকে লিখতে পারবেন নালিখলে ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই পুলিশ হাজির হয়ে আপনার খাতির-যত্ন নেওয়া শুরু করবে!
— অফিস ফাঁকি দেবেনএমন স্ট্যাটাস আপনি চাইলেও দিতে পারবেন নাকারণ অফিসের বস বা আপনার কলিগরা এমন স্ট্যাটাস দেখে ফেললে আপনার চাকরি হুমকির মুখে পড়বে!
— ভুয়া সার্টিফিকেট লাভ করেছেনএমন কথা লিখে স্ট্যাটাস দিছেন তো মরছেনকোথাও আর কোনো পাত্তা পাবেন না আপনি
— পাসওয়ার্ড শেয়ার করলামএমন স্ট্যাটাস আপনি ভুলেও শেয়ার করতে পারবেন নাকারণ, পাসওয়ার্ড শেয়ার করলে আপনার আইডি আর আপনার নিজের থাকবে না।

লেখা: রবিউল ইসলাম সুমন
প্রথম প্রকাশ: এনটিভি (অনলাইন)

(২ জুন ২০১৬)