উট : আমরা হইলাম উচ্চমার্গীয় জাতি। কারণ আমরা ফরেনে
থাকি। কিন্তু এখানকার বাজার ব্যবস্থা খুবই খারাপ। কারণ আমাদের রাখা হয়েছে দেশি গরু-ছাগলের
পাশের সারিতে। প্রেস্টিজ পুরা পাংচার হয়া গেলরে...!
গরু : মালিক আমার লগে একটা সেলফি তুলে ফেসবুকে আপলোড
দিছিল। সঙ্গে সঙ্গেই তার বন্ধুরা কমেন্ট করতে লাগল, দোস্ত এখানে গরু কোনটা?
শেষমেশ
কি-না মানুষের সঙ্গে আমার তুলনা? ছিঃ! নিজেদের মান-সম্মান বলে দেখছি আর
কিছুই অবশিষ্ট থাকল না!
ছাগল : মানুষ বলে ফেসবুকে নাকি ছাগলের সংখ্যা দিন দিন
বেড়ে যাচ্ছে! কই, আমাদের তো কোনো ফেসবুক আইডি নাই। তাহলে আমাদের নামে যারা ফেসবুক চালাচ্ছে
তারা নিঃসন্দেহে ফেইক আইডি বোঝা যাচ্ছে। অতএব বন্ধুরা সাবধান!!
মুরগি : গত ঈদে বেশ টেনশনে ছিলাম। এবার আমাদের ওপর কোনো
চাপ নেই। সো আগামী ঈদ পর্যন্ত একেবারে নিশ্চিন্ত হয়ে চলাফেরা করতে পারব! তবে খারাপ
লাগছে আমার কিছু চার পা-ওয়ালা ফ্রেন্ডের জন্য। তাদের উদ্দেশে বলছি, বন্ধুরা
টেনশনের কিছু নাই। জন্মেছি যখন তখন একবার না একবার মরতেই হবে। বেঁচে থাকলে আবার
দেখা হবে। তোমাদের জন্য অঢেল শুভ কামনা।
ভেড়া : সারাবছর বাজারের মাংসের দোকানগুলোতে খাসির নামে
আমাদের কোরবান করা হলেও ঈদের সময়টাতে অন্তত আরামে থাকতে পারি। কারণ ক্রেতাদের কাছে
আমাদের চাহিদা খুব একটা নেই বললেই চলে। সো ফিলিং রিলাক্স! 
প্রথম প্রকাশ: প্যাঁচআল, দৈনিক সমকাল
(২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫)

 
No comments:
Post a Comment